Tuesday 15 April 2014

বিভাজনের রাজনীতি ও বাঙালী

ঘনাদা বললেন রাজনৈতিক লেখা দিতে। বলার তো আছে অনেক কিছুই, কিন্তু নানান চক্করে সেগুলোকে আর নামানো হয়ে উঠছিল না। এদিকে দেখি পয়লা বৈশাখ এগিয়ে আসছে, তার সঙ্গে দিল্লীর গদি দখলের লড়াই। কিন্তু কি কাণ্ড, সমস্ত সমীক্ষা যাকে সরকার গড়ার দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে, যারা ভোটের ছমাস আগে প্রধাণমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে, সেই ভারতীয় জনতা পার্টির তো দেখি ইশতেহারের দেখাই নেই! শেষমেশ একদফার ভোট মিটে যাওয়ার পর তারা ঝুলি থেকে ইশতেহার বের করল। তবে এতে আমি খানিক স্বস্তি পেলাম। শেষমুহূর্তে ইশতেহার দেখেও যদি আমজনতা পদ্মফুলে ছাপ দেন তবে আমার লেখাটা আর যাই হোক দেরীর জন্যে নিশ্চয়ই বাতিল হবে না!

ইশতেহারটি দেখে খানিক অবাক হলাম। সেই রামমন্দির নির্মাণ, ৩৭০ ধারা বিলোপ, গোহত্যা নিবারণী আইন, ...। অথচ কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল বিজেপি না কি হিন্দুত্বের বদলে "সুশাসন" আর "উন্নয়ন"কেই অগ্রাধিকার দিতে চলেছে। গুজরাটকে দেশের মডেল রাজ্য হিসেবে তুলে ধরার জন্য প্রচারের অন্তঃ ছিল না নামীদামি কাগজ আর টিভি চ্যানেলগুলোর। অবশ্য একটু পরিসংখ্যান ঘেঁটে তলিয়ে দেখলেই প্রচারের ফানুস ফাটতে সময় লাগে না। স্বাধীনতার আগে থেকেই ব্যবসা বাণিজ্যে এগিয়ে থাকা গুজরাতের আর্থিক বৃদ্ধির হার যে নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে শ্লথ হয়েছে, মানবোন্নয়নে গুজরাতের হাল যে অত্যন্ত খারাপ সেটাকে অস্বীকার করার জো নেই। অবশ্য বিজেপি নেতারা সে চেষ্টা করছেনও না। অত্ত সংখ্যা আর তথ্যের কচকচির চাইতে ঐ "আব কি বার মোদী সরকার" টাইপের স্লোগান পাবলিক খায় বেশী। মোদীর থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের অন্যতম অরুণ জেটলি সার কথাটা বলে দিয়েছেন, "উন্নয়ন নিয়ে বক্তৃতা দিলে মানুষ ততটা হাততালি দেয়না, কিন্তু যখন জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে তখন কর্মীদের উৎসাহ দেখার মত।" তবে বিজেপি ক্যাডাররা উৎসাহিত হলেও শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত সমাজকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আকৃষ্ট করা কঠিন। তাই সুশাসন, উন্নয়নের গপ্পো শোনানো দরকার। আর হিন্দুত্বের পোস্টারবয় নরেন্দ্র মোদীকে তুলে ধরলে কট্টর হিন্দু ভোট এমনিতেই ঝুলিতে পড়বে। 

আসলে জাত-ধর্ম বা আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে মানুষকে উত্তেজিত করা যতটা সহজ, অর্থনৈতিক ভিত্তিতে সংগঠিত করা ততটাই কঠিন। ভারতের রাজনৈতিক বিন্যাসের দিকে তাকালে ব্যাপারটা সহুজেই বোঝা যায়। কংগ্রেস আর বামপন্থীদের বাদ দিলে (এখন আপকেও ধরতে হবে) প্রায় সব দলই জাত, ধর্ম বা আঞ্চলিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত। কংগ্রেস ঐতিহাসিক দল। মূলতঃ বৃটিশদের উদ্যোগে ভারতবাসীর ক্ষোভ-অসন্তোষের সেফটি ভাল্ভ হিসেবে কংগ্রেসের জন্ম হয়েছিল, কংগ্রেস বারবার স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এসব কথা মেনে নিয়েও বলতে হয় স্বাধীনতার আগে নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান বিশিষ্ট ভারতবর্ষের জাতীয় মঞ্চ ছিল কিন্তু কংগ্রেসই। অন্যদিকে কংগ্রেসের নরমপন্থী দরকষাকষির রাজনীতি আর বিপ্লবীদের সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বাইরে শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক সংগ্রামকে রাজনীতির মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত করে তৃতীয় পথের সন্ধান গতি পায় রাশিয়ায় নভেম্বর বিপ্লবের সাফল্যে। একটা সময় গোটা দেশেই কমিউনিস্টদের যথেষ্ট শক্তি ও প্রভাব ছিল। স্বাধীনতার পর দুর্নীতি, কোন্দল, পরিবারতান্ত্রিকতায় ডুবে যাওয়া কংগ্রেস যত জমি হারালো, দেশের মাটিতে মার্কসবাদের সৃজনশীল প্রয়োগের বদলে রাশিয়া-চীনের অন্ধ অনুকরণ করতে গিয়ে কমিউনিস্টরা যত দুর্বল হল, ততই দাপট বাড়ল জাত, ধর্ম ও আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে তৈরী দলগুলোর। তবে ভাষা, জাতিসত্তা বা আঞ্চলিকতার ওপর দাঁড়িয়ে কোন দল একটা রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারে, কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে নির্ণায়ক হওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য দরকার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের যেটা ধর্ম, সেই হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরা। এখানেই মুলায়ম-মায়াবতী-জয়ললিতাদের চেয়ে নরেন্দ্র মোদির অ্যাডভান্টেজ। 

অথচ গোটা ভারতের এই প্রবণতার মধ্যে বাংলা এক মূর্তিমান ব্যতিক্রম। জাত-ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি কোনদিনই বাংলায় বিশেষ কল্কে পায়নি। বৃটিশরা ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা ভাগ করতে গিয়ে হাত পুড়িয়েছিল। শেষঅবধি অবশ্য দেশভাগের সঙ্গে বাংলা ভাগ হলই। দেশনেতাদের দ্রুত ক্ষমতালাভের তাড়া আর ৪৬এর স্মৃতিভারাক্রান্ত বাঙালীর ঝামেলা না বাড়ানোর তাগিদ না থাকলে ইতিহাস হয়ত অন্যরকমও হতে পারত। সোরাবর্দী-কিরণশঙ্কর রায়-শরৎ বসুরা একটা চেষ্টা করেছিলেন বাঙলাকে অবিভক্ত রাখার। সে চেষ্টা সফল না হলেও বাংলার দুই অংশেই সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীরা কখনোই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারেনি। বরং ওপারের বাঙালীদের প্রথমে রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও বাংলা ভাষার রাষ্ট্র অর্জনের মরণপণ লড়াই দ্বিজাতিতত্ত্বকেই অর্থহীন করে দেয়। একথা ঠিকই জামাত-ই-ইসলামির মত মৌলবাদী ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দলের দাপট বাংলাদেশে কম নয়, কিন্তু তারাও একার শক্তিতে ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। বিএনপির (কখনো আওয়ামি লীগেরও) লেজুর হয়েই থাকতে হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন আর দলে দলে হিন্দুদের দেশত্যাগের ঘটনাকেও অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যে শুধু হিন্দুরা ভারতে আসছেন তাই নয়, অনেক মুসলমানও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁটাতার পেরোচ্ছেন। তাই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের পিছনে শুধু ধর্মীয় নয়, অর্থনৈতিক কারণও রয়েছে। 

যদি এপার বাংলার দিকে তাকাই তাহলেও দেখবো যে হিন্দু মৌলবাদীরা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সুবিধে করে উঠতে পারেনি। অথচ এমনটা হওয়ার কথা নয়। দেশভাগের ধাক্কায় অগণিত মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে চলে এসেছিলেন এপারে। তাঁরা যাঁদের হাতে সম্পত্তি খুইয়েছিলেন, প্রিয়জনকে হারিয়েছিলেন তাঁরা ধর্মে মুসলমান। ৪৬এর দাঙ্গার স্মৃতিও তখন দগদগে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারবারিদের কাছে এমন পরিস্থিতি তো সোনায় সোহাগা! স্বাধীনতার ৪ বছর পর আজকের বিজেপির পূর্বসূরী, আরএসএসের রাজনৈতিক শাখা জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একজন বাঙালী, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ হিসেবে শ্যামাপ্রসাদের যোগ্যতা তাঁর ঘোর বিরোধীরাও অস্বীকার করতে পারবে না। সম্পূর্ন ভিন্ন রাজনীতির লোক ফজলুল হক ও জওহরলাল নেহরু তাঁদের মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদকে। এ হেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ও কিন্তু পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করে বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির গোড়াপত্তন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বরং উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁদের এই অবস্থার জন্য যাঁরা অনেকটাই দায়ী সেই কংগ্রেসের দিকে ক্ষোভকে চালনা করে মাটি শক্ত করেছিলেন কমিউনিস্টরা। এরপরে পশ্চিমবঙ্গে অনেক রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে, কিন্তু বিজেপি সুবিধে করতে পারেনি। একটা-দুটো আসনের জন্য তাদের কখনো তৃণমূল কংগ্রেস, কখনো বা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হাত ধরতে হয়েছে। শুধু ধর্মের সাম্প্রদায়িকতা নয়, আমরা বাঙালী টাইপের রাজনীতিও এখানে হালে পানি পাবে না। অন্য রাজ্য থেকে পেটের ধান্দায় আসা মানুষ ক্রমে এখানে মিশে গেছেন।       

এর কারণ হিসেবে অনেকেই বলেন বাঙালী আসলে সংকর জাতি, তাই তারা স্বভাবতই বহুত্ববাদী ও প্রগতিশীল। "দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে"  এই হল বাঙালীর রাস্তা। জাতপাতের বেড়া ভাঙাই হোক, সতীপ্রথার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণাই হোক আর রাজনীতির চেনা পথকে বাতিল করে গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরতে ঝাঁপিয়ে পরাই হোক নতুন পথের সন্ধান তো বাঙালীরাই বারবার দিয়েছে। তাই গোলওয়ালকরের হিন্দুত্ব নয় চৈতন্য-রামকৃষ্ণের হিন্দুত্বই বাঙালির পছন্দ। এপ্রসঙ্গে বন্ধু ব্লগার শাক্যমুনির কিছু কথা উদ্ধৃত না করে পারছিনাঃ 

এই এত বছর পরে এত রকমের রক্ত মেশাবার পরেও আমরা বাঙালীরা বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা, অনেকটাই প্রোগ্রেসিভ। কারণ আমরা চিরকালই রোম্যান্টিক, রেবেলিয়াস, রঙিন। গোঁড়ামি কে আমরা কোনোকালেই পাত্তা দিইনি (গোঁড়ামি সে ধর্মীয় বলুন বা রাজনৈতিক), তাই ধর্মের রুক্ষ পাষাণ বেদী থেকে দেবতা কে আমরা নামিয়ে এনেছি ঘরের উঠোনে, শিব ঠাকুর কে জামাই বানিয়ে বিয়ে দিয়েছি ঘরের মেয়ে উমার সঙ্গে আর কেষ্ট ঠাকুরের মামিমা রাধার সঙ্গে অবৈধ প্রেম নিয়ে আমরা বেঁধেছি প্রাণের গান, ভক্তিরসের উন্মাদনায় কাতর হয়েছি, পাগল হয়েছি, বিপ্লবী হয়েছি আমরা, পৈতে ছেড়ে গলায় দিয়েছি কণ্ঠীর মালা। প্রেম ও যৌনতার ট্যাবু কে অবলীলায় ছিন্ন করে তাকে জুড়ে দিয়েছি রিচুয়াল প্র্যাকটিসের সঙ্গে। কট্টর মৌলবিদের চোখ রাঙানি কে উপেক্ষা করে আমরা পরিধান করেছি বেশরিয়ত ফকিরের আলখাল্লা।

কিন্তু বাঙালী কি সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক? ট্রেণে-বাসে-রকে-ফেসবুকে কান পাতলেই বোঝা যাবে তা নয়। অন্তত বাঙালিদের মধ্যে একটা বড় অংশ আছে যারা ঘোরতর সাম্প্রদায়িক। আজও বেশীরভাগ জায়গায় হিন্দু, মুসলমান আলাদা পাড়ায় থাকে। পাশে মসজিদ থাকলে বাড়ি কেনেন না হিন্দু শিক্ষক, ভিনধর্মে প্রেম-বিয়ে মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। তাহলে কি বাঙালী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী? অর্থাৎ হিন্দু হিন্দুর মত থাক, মুসলমান মুসলমানের মত, কেউ কাউকে না ঘাঁটালেই হল?
পশ্চিমবঙ্গের শাসকরাও বোধহয় সেই নীতিতেই বিশ্বাসী। সাধারণভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হলেও ভোটের স্বার্থে তাঁরা ধর্মীয় গোঁড়ামির গোড়ায় টান দিতে আগ্রহী নন। বামফ্রন্টের তসলিমা বিতাড়ন, তৃণমূলের ইমামভাতা তারই উদাহরণ মাত্র। আগে বলেছিলাম কংগ্রেস আর বামপন্থীরা জাত-ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করেননা। এই তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকেও রাখা যেতে পারে। তিনি যদিও একাধিকবার বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছেন, গুজরাত গণহত্যার পর নরেন্দ্র মোদী ভোটে জিতলে ফুল পাঠিয়েছেন। তবু দেরিতে হলেও বুঝেছেন বিজেপি সঙ্গ তাঁর পক্ষে আদৌ লাভজনক নয়। কিন্তু তাঁর সরকারের নানারকম কাজকর্মে যে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো উৎসাহিত হচ্ছে সেবিষয়ে তিনি অবগত নন? পরিবর্তনের পর এরাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিজেপির ভোট যে বাড়ছে সে কি শুধু মোদী হাওয়া?

বাংলায় জাত-ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি হয়না বলেছিলাম বটে কিন্তু একথা আর কতদিন খাটবে? ওদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, আদিবাসী বিকাশ পরিষদ, কামতাপুর পিপলস পার্টির আত্মপরিচয়ের রাজনীতি মাথা চাড়া দিচ্ছে, এদিকে রেজ্জাক মোল্লা দলিত+মুসলিম সমীকরণে নতুন দল খুলছেন। আর বিজেপির বিষ তো আছেই। পশ্চিমবাংলাও কি তাহলে গড্ডালিকায় গা ভাসাবে? শ্রীলঙ্কায় তামিলদের ওপর নারকীয় অত্যাচার চালাচ্ছে উগ্র সিংহলী জাতীয়তাবাদী রাজাপক্ষ সরকার, পাকিস্তানে ক্ষমতায় এসেছে তালিবানদের প্রতি সহানুভূতিশীল নওয়াজ শরিফের দল, নেপালের গণপরিষদ নির্বাচনে চমকপ্রদ সাফল্য পেয়েছে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি, বাংলাদেশে জামাতী-হেফাজতীদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে রক্ত ঝরাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ তরুণরা। ভারতের জমি হাঙড় আর ধান্দাবাজ কর্পোরেটরা প্রাণপাত করছে এমন একজন একনায়ককে ক্ষমতায় আনতে যিনি যেকোন প্রতিবাদ, বিরোধিতাকে দুরমুশ করতে পারেন। গুজরাত নরমেধ যজ্ঞের পৌরহিত্য করে, সোহরাবুদ্দিন, তুলসী প্রজাপতি, ইশরাত জহানকে খতম করে তিনি যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। পশ্চিমবাংলা কি করবে? হিংসা-বিদ্বেষের মোদী হাওয়ায় গা ভাসাবে না কি বহুত্ব ও ঐক্যের মশাল জ্বালিয়ে পথ দেখাবে বাকি ভারতকে?

প্রথম প্রকাশঃ লেখালেখি ই ম্যাগাজিন, বৈশাখ ১৪২১